বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, , ২৬ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
  • প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে যে প্রস্তাব বিএনপির কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজারে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ।। থানায় মামলা  চান্দিনায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন সফলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে কুমিল্লা মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ভিক্টোরিয়া কলেজ, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কুমিল্লা স্কাউট মানবতার কল্যাণে কাজ করে দেবীদ্বারে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা চট্টগ্রামে ইসকন নেতা চিন্ময় অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত পত্রিকা অফিসে ভাঙচুরের বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদের হুঁশিয়ারি
  • মুরাদনগরে মামলা করায় হামলার আশঙ্কা 

    মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়ায় মারধর-

    মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়ায় মারধর-
    ছবি- সংগৃহীত

    আল-আমিন কিবরিয়া। কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসায় একজনকে বাড়িতে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই ব্যক্তির নাম মোজাম্মেল হোসেন। তিনি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার হিরাপুর গ্রামে মৃত তারু মিয়া ছেলে। মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে মোজাম্মেল হোসেন। এ মামলায় গত রবিবার গভীর রাতে হিরাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মেয়ে মাফিয়া বেগম(৪২) নামে এক নারীকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মাফিয়া বেগম বর্তমানে কারাগারে আছেন। মঙ্গলবার সকালে হিরাপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী স্বপ্না বেগমের সাথে। তিনি বলেন, মাফিয়া বেগমকে গ্রেফতারের পরপরই আমরা হামলার আশঙ্কায় আছি। মাফিয়ার লোকজন যেকোনো সময় আমাদের উপর হামলা করতে পাড়ে। ওই দিন রাতে আমাদের বাড়িতে এসে আমি ও আমার সন্তানদের সামনে আমার স্বামীকে তারা মারধর করেছে। আমি আমার স্বামীকে মারধরের বিচার চাই। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে হিরাপুর গ্রামে মোজাম্মেল হোসেনকে তার বাড়িতে গিয়ে মারধর করে মাফিয়া বেগম ও তার লোকজন। এ ঘটনা মোজাম্মেল মাফিয়া বেগম(৩৮) ও মোঃ মোহন মিয়া (৫০), আশিক (১৯),মোঃ রবি মিয়া (১৮) নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানা একটি মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তরা সবাই হিরাপুর গ্রামের বাসিন্দা। মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমি আগে মাফিয়ার মাদক ব্যবসা করতাম। আমার ছেলে সন্তানরা বড় হচ্ছে। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে ব্যবসা ছেড়ে দেই। এরপর পর বিভিন্নভাবে তিনি আমাকে মারধর করার চেষ্টা করেন। ঐদিন মাফিয়া বেগম তার দলবল নিয়ে আসে আমার বাড়িতে। বাড়ির সবার সামনেই তার লোকজন আমাকে মারধর করে। আমি থানা একটি মামলা করেছি মাফিয়া বেগম কারাগারে আছেন। মাফিয়া বেগমের নাম শুনলে এখন আমি ভয় পাই। বাড়ি যেতে ভয় পরছিনা। কারণ যে কোন সময় আমার উপর আবার হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।বাঙ্গরা বাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সালাউদ্দিন আল মাহমুদ বলেন, মোজাম্মেল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় থানা একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


    add