মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, , ১৮ রবিউল সানি ১৪৪৬

কুমিল্লায় গ্লোবাল ফ্যাটি লিভার দিবসের সেমিনার

লিভার সুস্থ রাখতে খাদ্য তালিকা থেকে তিন সাদা কমানো জরুরি

লিভার সুস্থ রাখতে খাদ্য তালিকা থেকে তিন সাদা কমানো জরুরি
ছবি- কুমিল্লা মেইল

বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর প্রাদুর্ভাব ৩০ শতাংশের বেশি। অপরদিকে বাংলাদেশের  কমপক্ষে সাড়ে চার কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শিশু-কিশোর ও মধ্যবয়সী নারীদের সংখ্যাই বেশি। তবে ওজন স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করে ১০ ভাগ কমানো, আঁশ জাতীয় তরকারি ও তাজা ফলমূল আহরণ  এবং প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট ব্যায়ামের মাধ্যমে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাস। শুধু তাই নয়, খাদ্য তালিকা থেকে তিন সাদা- যেমন ভাত, চিনি ও লবণের পরিমাণ কমানোও জরুরি।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে গ্লোবাল ফ্যাটি লিভার দিবস উপলক্ষে  কুমিল্লা ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ফ্যাটি লিভার-ভবিষ্যৎ মহামারি শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। কুমিল্লা লিভার ক্লাব আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ক্লাব সভাপতি ডা. ইজাজুল হক। সহ-সভাপতি লুৎফুর বারী চৌধুরী হিরুর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি ডা. আব্দুল বাকী আনিস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএমএ’র জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, সমাজ সেবা অধিদফতর কুমিল্লা জেলার উপ-পরিচালক জেড. এম মিজানুর রহমান খান প্রমুখ। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কুমিল্লা মেডিকেলের সাবেক পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, এটিএন বাংলার কুমিল্লা প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক, সমকালের জেলা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন, ডা. আজিজুল ইসলাম এবং শাহজাহান সাজু। সেমিনারে কুমিল্লায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক চিকিৎসকসহ  বিভিন্ন অঙ্গনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। শুরুতে ফ্যাটি লিভার নিয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন কুমিল্লা লিভার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরহাদ উদ্দিন। এতে লিভার রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন তিনি। অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ রোগটি  নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। তারা আরও বলেন, লিভার ঠিক না থাকলে দেহের কোনো মূল্য নেই। তাই লিভারের প্রতি যত্নশীল হওয়ার বিকল্প নেই।