বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহ আলম বলেছেন- বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগসহ সাংবিধানিক কাঠামো ধ্বংস করে গিয়েছে। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের স্টিমরোলার চালিয়েছে। তাদের ১৬ বছরের অপশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ছিলো বীতশ্রদ্ধ। তাই শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্ম্য হয়ে সব পক্ষই হাসিনা হটাও আন্দোলনে শামিল হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের বহু প্রত্যাশা। তিনি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি ব্যবস্থার সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।

 সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লার কান্দিপাড়ের পূবালী চত্বরে সিপিবি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সিপিবির কুমিল্লা জেলার  সাধারণ সম্পাদক কমরেড অ্যাডভোকেট অশোক কুমার দেবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড পরেশ কর, কুমিল্লা জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সূজাত আলী ও কমরেড শিব নারায়ণ চক্রবর্তী। সিপিবি’র কেন্দ্র  ঘোষিত  ১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর দেশব্যাপী "শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা" শীর্ষক কর্মসূচি অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ, জনসভা, বিক্ষোভ মিছিল, হাট সভা ও পথসভা করছে দলটির নেতাকর্মীরা। কুমিল্লার কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নানা দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন ও ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের  নেতাকর্মীরা। নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি রোধ , আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণেরও দাবি জানান কমরেড শাহ আলম। তিনি বলেন কমিউনিস্ট পার্র্টি সব সময় দেশের মানুষের স্বার্থে নিজস্ব সামর্থ্য সবার আগে মাঠে নেমেছে। আগামীতেও জনগণের যেকোনো ক্রান্তিকালে পাশে থাকবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ক্ষমতার পালাবদল হলেও বুর্জোয়া দলগুলোর কাছে জনগণের স্বার্থ সব সময়ই উপেক্ষিত।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কমরেড বিকাশ দেব, কমরেড সুধাংশু নন্দী, কমরেড সহিদুর রহমান, কমরেড পরিমল চন্দ্র শীল,  কমরেড আনিছুর রহমান, কমরেড মাহমুদুর রহমান মিঠু, কমরেড আনিস, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট কিংকর চন্দ, বর্তমান জেলা সভাপতি  দীপ্ত ও অনির্বাণ দেব প্রমুখ।