রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫,

শিরোনাম :
  • জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য এক ব্যক্তি দিবেন ৮০ কোটি টাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বাঁধনের পালাবদল: নতুন নেতৃত্বে মাহমুদা–সাফিন লালমাইতে উপজেলা শিক্ষক পরিবারের নামে শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা, অবগত নয় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আইএলটিএস এ অনন্য অবদানের জন্য "Star Performer -2025" পুরস্কারে ভূষিত হলো FM Method Cumilla. মহড়ার সময় ট্যাঙ্ক ডুবে ভারতীয় সেনা অফিসারের মর্মান্তিক মৃত্যু বেগম জিয়াকে লন্ডনে নিতে ঢাকায় আসছেন ডা. জোবাইদা রহমান খালেদাকে বহন করা এয়ার এম্বুলেন্সে থাকছে যে সব সুবিধা রায়ের পর ভূমিকম্প 'আল্লাহর গজব' বল্লেন শেখ হাসিনা কুমিল্লায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত
  • হেফাজত আমিরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জা্মায়াতের

    হেফাজত আমিরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জা্মায়াতের
    ছবি/সংগ্রহীত

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আজ সোমবার গণমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

    বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, দৈনিক ইনকিলাবের ১৫ সেপ্টেম্বর সংখ্যার প্রথম পাতায় ‘জামায়াত সরকারে আসতে পারলে কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার অস্তিত্ব রাখবে না’ শিরোনামে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অসত্য ও মনগড়া। তাঁর এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তাঁর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাঁর মতো একজন বরেণ্য আলেমের মুখে এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য শোভা পায় না। আমি তাঁর এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও ইসলামি ধারার রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছে। জামায়াতের বহু নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা বা কর্মী কোনো দিন কওমি, দেওবন্দি কিংবা সুন্নিয়াত মাদ্রাসার বিরোধিতা করেছেন—এমন প্রমাণ নেই।

    সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর দুজন মন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁরা কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার বিরোধিতা করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না। বরং তাঁরা ওই ধরনের মাদ্রাসাকে মুক্তহস্তে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর আশঙ্কা অসত্য ও অমূলক। অতএব এ ধরনের প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

    বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অসত্য ও মনগড়া মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।


    add