দেবিদ্বারের বড়শালঘরে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ১১ জুলাই, ২০২৪ ১৪:২৫ পি এম
আল আমিন কিবরিয়া।। কুমিল্লার দেবিদ্বারের বড়শালঘর ইউনিয়নে বেড়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের তাণ্ডব। এলাকায় মাদক বিক্রির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বাগ-বিতাণ্ড , একাধিক সংঘর্ষ এবং বিক্রি ও সেবনে বাধা দেয়ায় অন্তত ৬ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদক কারবারিরা। বুধবার (১০জুলাই) বড়শালঘর ইউনিয়নের সংচাইল স্টেশন ও বড়শালঘর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরদ্ধে মানববন্ধন করেছেন করেছেন এলাকাবাসী। এতে অংশগ্রহণ করেছেন ওই এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ। মানববন্ধনে খাদিজা বেগমসহ আরও কয়েকজন জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে বড়শালঘরের প্রায় ঘরে আজ অশান্তির আগুন জ্বলছে। স্থানীয় প্রশাসন এসব মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেও কয়েকদিন পর জেল থেকে বের হয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। এ গ্রামে বসবাস করার মতো কোনো পরিবেশ নাই। স্থানীয় কয়েকজন জানান পুলিশের কাছে মাদক বিক্রির তথ্য দিলো কেনো! এ কথা বলে মাদক কারবারিরা গত ৮জুলায় সোমবার সকালে ও বিকালে বড়শালঘর গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও মোজাম্মেলসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবককে মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। এর পরপরই সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানা পুলিশ বড়শালঘর গ্রামের রূপনগর গাঙ্গের পাড়ের অভিযান চালিয়ে রবি নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে দুই কেজি গাঁজাসহ আটক করে। স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা কামাল বলেন, রবির স্ত্রীকে আটকের আগে একই দিন সোমবার (৮ জুলায়) সকালে রূপনগর গাঙ্গের পাড়ের মাদক ব্যবসায়ী রবির বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে রবি বিলের পানিতে ঝাঁপ দেয়। এতে রবি গুরুতর আহত হয় এবং পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই রবির লোকজন সংচাইল স্টেশনে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে৷ এবং কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। বড়শালঘর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মুনু মিয়া বলেন, গ্রামবাসী পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে কিছুই জানত না। অথচ, রবির লোকজনের হামলায় গ্রামের তিনজন আহত। গুরুতর আহত বিল্লাল হোসেনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এখন সে কুমিল্লা মেডিরেকল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে জানতে রবির বাড়িতে গিয়ে রবি ও তার ছেলেদের কাউকে পাওয়া যায়নি। রবির মেয়ে ময়না আক্তার ও পাখি আক্তার বলেন, আমরা ঢাকা থাকি। আমার বাবা মাদকের সাথে জড়িত কিনা জানা নেই। তবে ওইদিন গ্রামের লোকজন বাড়িতে পুলিশ পাঠায়। আমার মাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। বড়শালঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল বলেন, বড়শালঘর ইউনিয়নে মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় তৎপর। মাদক নির্মূল তো আর আমাদের দায়িত্ব না। যারা দায়িত্বে রয়েছেন আমরা তাদেরকে সব সময় সহযোগিতা করি। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার মাদক ব্যবসা শুরু করে। দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, দেবিদ্বারে মাদক চলতে দেয়া হবে না। মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী শনাক্ত
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেবীদ্বারের ১১ শহীদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ
- ভিক্টোরিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন থানা হেফাজতে
- সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন এমডি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
- কুমিল্লায় ডেভেলপার কোম্পানি ও জমির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ
- বেসরকারি চ্যানেলে বিটিভির সংবাদ সম্প্রচারের বাধ্যবাধকতা থাকছে না
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন যিনি
- অপপ্রচারের প্রতিবাদে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরে মানববন্ধন
- নতুন আঙ্গিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের