বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, , ১৯ রবিউল সানি ১৪৪৬

দেবিদ্বারে একই স্থানে ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশের আহবান

দেবীদ্বারে একই স্থানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশ, প্রশাসনেরর ১৪৪ ধারা জারী

দেবীদ্বারে একই স্থানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশ, প্রশাসনেরর ১৪৪ ধারা জারী
দেবিদ্বারে একই স্থানে ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশ আহবান

দেবিদ্বারে একই স্থানে ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশ আহবান করায় শান্তিভঙ্গের আশংকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ৪৬ নং চান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ একই সময়ে সমাবেশ আহবান করায় সকাল থেকে সেখানে দুই গ্রুপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পৌনে ৩টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারী করে। তবে বিকাল ৫ টার দিকে ছাত্রলীগ একই স্থানে বিকালে তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মী সমাবেশ করেছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সমর্থিত ফতেহাবাদ ইউনিয়ন ইউনিয়ন যুবলীগ আলোচনার সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথিহিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাজী আবুল কাসেম ওমানী ও বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী। অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সমির্থিত ছাত্রলীগ একই স্কুল মাঠে একই সময়ে কর্মী সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এতে উভয় গ্রুপ সকাল থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্রুপে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং চেয়ার ভাংচুর ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুর রহমান রনি বলেন, আমরা ২ দিন আগেই ওই স্থানে কর্মী সমাবেশ করার ঘোষণা প্রদান করি। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ইউনিয়ন যুবলীগ হঠাৎ গত রাতে সেখানে সভা আহবান করে। তবে ভিন্ন কথা বলেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাজী আবুল কাশেম ওমানী। তিনি বলেন, ইউনিয়ন যুবলীগ আগেই সেখানে কর্মসূচি দেয়, ছাত্রলীগ নয়। তারাই (ছাত্রলীগ) ইচ্ছে করে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর দুপুরের পর আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে। সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগেই সেখানে ছাত্রলীগ সভা আহবান করেছিল, প্যান্ডেল করেছে। যুবলীগ সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। সেখানে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির যৌক্তিকতা ছিল না। তাই বিকালে তিনি ছাত্রলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) খাদেমুল বাহার বলেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুটি পক্ষই একই স্থানে সমাবেশ করতে গেলে শাস্তি ভঙ্গের আশংকা ছিল, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সেখানে ১৪৪ জারী করে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, একই স্কুল মাঠে দুটি পক্ষ একই সময়ে দলীয় সমাবেশ করতে চেয়েছিল, তবে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে কাউকে সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি না নিয়ে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারী ভঙ্গ করে বিকালে ছাত্রলীগের সমাবেশ করার বিষয়টি বিষয়ে তিনি বলেন, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ১৪৪ ধারা জারি করা আমার দায়িত্ব ছিল কিন্তু তিনি অবগত নন বলে জানান।


আ১