চুরির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফরিদ আমিন গণঅধিকারের এমপি প্রার্থী!
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬ পি এম
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।।
কখনো ফরিদ আমিন, কখনো কে এম ফরিদ আমিন, কখনো ফরিদ আহাম্মদ নামে একেকস্থানে একেক পরিচয়ে প্রতারণা করেন কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত এমপি প্রার্থী কেএম ফরিদ আমিন। চুরির মামলা, আদালতের সাজা, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ফরিদ আমিনের নানান বিতর্কিত কর্মকান্ডের পর এবার নিজ পিতাকে মারধরের অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী পিতা রুহুল আমিন। গত ৪ই ডিসেম্বর ছেলে ফরিদ আমিন কর্তৃক হামলা ও মারধরের শিকার পিতা রুহুল চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারন ছেলে এবং নাতি ও ছেলের বউকে বিবাদী করে সাধারন ডায়েরী করেন।
এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আবুল কালাম।
থানা সূত্রে এবং স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১০ সালের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার জনৈক আবু রশিদ ফরিদ আহাম্মদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ফরিদ আহাম্মদ ওরফে ফরিদ আমিন জেলহাজতেও থাকেন। পলাতক থাকায় বর্তমানে এই মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান করেছে আদালত।
ফরিদ আমিন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও নিজ পিতাকে মারধর করেন। এই ঘটনায়ও চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারন ডায়েরী করেন ভুক্তভোগী পিতা।
গত ৪ই ডিসেম্বর দায়েরকৃত অভিযোগে ভুক্তভোগী পিতা উল্লেখ করেন, প্রায় সময় কেএম ফরিদ আমিন ও তাঁর স্ত্রী নাছরিন যোগসাজশে রুহুল আমিনকে মারধর করে। এসব ঘটনায় থানায় এর আগেও একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। ৩ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে পরস্পর যোগসাজশে একত্রিত হয়ে কেএম ফরিদ আমিন গং রুহুল আমিনের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ সময় রুহুল আমিনকে বাঁচাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম, পাশের আবদুল আহাদ ও মরিয়ম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা রুহুল আমিনের ঘর ভাংচুর করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানা পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ বা আদালতে মামলা করলে ভিকটিমদেরকে হত্যা করার হুমকি দেয় কেএম ফরিদ আমিনসহ হামলাকারীরা।
ফরিদ আমিনের গ্রামের বাড়ি উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাংপাই গ্রামের জনৈক সাইফুল জানান, ফরিদ এর আগেও একাধিকার পিতা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে যুগিরহাট গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ বলেন, যে সন্তান সাধারণ ঝামেলা নিয়ে পিতাকে মারধর করে, সে আবার এমপি নির্বাচন করবে? তাকে কেউ ভোট দিবে? অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাঁর মনোনয়নের বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখা উচিত। তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত।
অভিযোগ উঠেছে, এর আগে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে অশালীন আচরণ করেছে কেএম ফরিদ আমিন। বিভিন্ন সময়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে প্রশাসনকে হুমকিও দিতেন তিনি।
তবে গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী কেএম ফরিদ আমিন শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে কাউকে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি’।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’
- যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালিত
- কুমিল্লা–৬ আসনে গণসংযোগ ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম যুবকদের হতাশার দিন শেষ কেউ বেকার থাকবে না— কাজী দ্বীন মোহাম্মদ
- নাঙ্গলকোটে কৃষক পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে
- চুরির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফরিদ আমিন গণঅধিকারের এমপি প্রার্থী!
- খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে: কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা
- রাত পোহালেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষক পরিষদ নির্বাচন
- চান্দিনায় দুই সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ; স্বামী আটক
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে রসায়ন সমিতির সভাপতি আরিফুল, সম্পাদক আকাশ
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে রসায়ন সমিতির সভাপতি আরিফুল, সম্পাদক আকাশ
- জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা