মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, , ১৮ রবিউল সানি ১৪৪৬

কান্নাকাটি করায় ছয় মাসের শিশুকন্যাকে মেরে ফেললেন বাবা-মা!

কান্নাকাটি করায় ছয় মাসের শিশুকন্যাকে মেরে ফেললেন বাবা-মা!
ছবি/সংগৃহীত

মাত্র ছয় মাসের শিশুর চিৎকার, কান্নাকাটিতে ব্যাঘাত ঘটছিলো ঘুমের। তাই শিশুটির মুখে কাপড় চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দিয়ে থানায় ‘শিশু নিখোঁজ’র জিডি করে উল্টো ফেসে গেলেন পাষণ্ড মা-বাবা স্বপ্না ও জিল্লুর। আটকের পর শিশু সন্তান হত্যার দায় স্বীকারও করেছেন ওই দম্পতি। এমন  নির্মম ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড়িশল গ্রাম।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়িশল গ্রামের জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগম প্রতিদিনের মতোই রবিবার (০১ জুলাই) রাতে তাদের ৬ মাস বয়েসী কন্যাশিশু নুসরাত জাহান তিথিকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। সোমবার সকালে স্বপ্না বেগম তার কন্যাশিশু নুসরাত নিখোঁজ হয়েছে বলে চিৎকার শুরু করেন।পরে থানায় গিয়ে ‘শিশু নিখোঁজ’র জিডি করলে পুলিশ তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ জিল্লুরের বাড়ির পাশের একটি খালে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখেন। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বপ্না বেগম শিশু হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, চিৎকার ও কান্নাকাটি করায় শিশুটির মুখে কাপড় চাপা দেয়া হয়। এতে সে মারা যায়। পরে তার স্বামী মরদেহটিকে খালে ফেলে আসতে বলেন।নিজেদের শিশুকন্যা নুসরাত জাহান তিথিকে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে ঘাতক পিতা-মাতা জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগমকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশ।এদিকে উদ্ধারকৃত শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। পরে আটক মা স্বপ্না বেগম এবং তার স্বামী জিল্লুর রহমান শিশুটিকে হত্যা ও লাশ গুমের পেছনে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।এদিকে ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আকটকৃত স্বপ্না বেগম ও জিল্লুর রহমান শিশু হত্যা ও লাশ গুমের সাথে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।