ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১৯:৪৬ পি এম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে। এতে চারটি মোটরসাইকেলে আগুন ও কমপক্ষে ৩০-৩৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করা হয়।গুরুতর আহতদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চার জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানা যায়, আগামী ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিএনপির কাউন্সিল সামনে রেখে সোমবার সকাল থেকেই পুরো উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। দুপুর দেড়টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের মোড় থেকে সাবেক এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক এবং অপর নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদারের নেতৃত্বে সম্মেলনবিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিভিন্ন অস্ত্র ও লাঠিসোটা হাতে মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুসা মার্কেট এলাকায় পৌঁছায়। সে সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকরা মিছিলটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেলসহ দেশি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। অবশ্য সংঘর্ষ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাদল, যুবদল নেতা মুসা হায়দায় ও বিপ্লবসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এর মধ্যে গুরুতর আহত চার জনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। যদিও তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ অলী মোহাম্মদ রাসেল জানান, আহতদের মধ্যে ২৫ জনের নাম হাসপাতালে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আরও ২৫ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত চার জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।সব মিলিয়ে আহত অর্ধশতাধিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান জানান বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ছিলো। একপক্ষ ঘোষণা দেয় এটি প্রতিহত করবে। তখন পুলিশ দুইটি পক্ষের নেতাদের সাথে একাধিক বৈঠক করে। এ সময় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কোনো বিবাদে জড়াবেন না। তারপরও এমন সংঘর্ষ দুঃখজনক। তিনি বলেন পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। এ ব্যাপারে কেউ মামলা করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
প্রসঙ্গত আগামী ২০ নভেম্বর পূর্ব নির্ধারিত বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ সমর্থক ১০ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীকে শাস্তি
- বই ও সঞ্চয় ব্যাংক পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা
- কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই জন আটক
- এই দিন দিন না, সামনে ভালো দিন আসবে : আদালতে কামরুল ইসলাম
- সশস্ত্র বাহিনী দিবসে’ বেগম খালেদা জিয়া, চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে দাওয়াত
- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
- চান্দিনায় তিন ছাত্রীর টিফিন বক্সে বিষ, একজন হাসপাতালে
- কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সহচর দীক্ষা অনুষ্ঠান
- তরুণদের মাদক থেকে রক্ষায় অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে
- ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১৪তম নতুন বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ হাবিবুর রহমান