বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, , ১৯ রবিউল সানি ১৪৪৬

কুমিল্লা সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকের গুঞ্জন!

কুমিল্লা সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকের গুঞ্জন!
ছবি/সংগৃহীত

কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ছয় জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর একটি বৈঠক ও মুজিবনগর সরকারের আদলে সরকার গঠনের চেষ্টার গুঞ্জন উঠেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিজিবি ও পুলিশ বলছে, তারা এমন কোনো বৈঠকের সত্যতা পায়নি। তার পরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে তারা জানান। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও আবদুল হান্নান মাসুদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনে শোনা যায়, কুমিল্লার বিবিরবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ফেনীর আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাকর্মীরা শনিবার দুপুর ৩টার দিকে একটি বৈঠক করেন। আজ রোববার ভারতের ত্রিপুরায় আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে পালিয়ে গেছেন, সেসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন। এমনকি ভারতে থাকা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং ওই সভায় অংশ নিয়ে একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের আদলে একটি অস্থায়ী সরকারেরও ঘোষণা দিতে পারেন। পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা। তবে এ গুঞ্জন কতটুকু সত্য, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শনিবার বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী খবর পাওয়া গেছে, বিবিরবাজার সীমান্তে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করবে। আগরতলায় শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের আদলে সরকার ঘোষণা করবে।

এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কুমিল্লা নগরীতে মশাল মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাউন হল মাঠে মশাল মিছিলের শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের রূপকার খুনি শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। পালিয়ে গিয়েও হাসিনা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। এরই মধ্যে আমরা খবর পেয়েছি, কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ত্রিপুরায় ফ্যাসিবাদের গংরা জমায়েত হওয়ার অপচেষ্টা করছেন। আমরা ফ্যাসিবাদের গংদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা কখনই বাংলার মাটিতে সফল হবে না। ফ্যাসিবাদের দালাল যারা রয়েছে– ছাত্রলীগ, যুবলীগ, টোকাই লীগ, বাংলাদেশের কোথাও পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করলে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হওয়ার ষড়যন্ত্র কখনই সফল হতে দেয়া হবে না।