মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, , ১৮ রবিউল সানি ১৪৪৬

বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় জরুরি: প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় জরুরি: প্রধান বিচারপতি
ছবি/সংগ্রহীত

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, যতদিন বিচার বিভাগ নিয়ে দ্বৈত শাসন বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের নিম্ন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলিতে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বিলোপ করতে হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় করতে হবে। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
আরও বলেন, শাসনের আইন নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব। বিচারকদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা করা হবে। বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, শঠতা, নিপীড়ন ও বঞ্চনার হাতিয়ার হিসাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে বিচার প্রার্থীদের সময় ও খরচ কমে এবং আদালতে তাদের বারবার আসতে না হয়। তবে এই বিষয়টি বিচারকের একার ওপর নির্ভর করে না। এ জন্য বারের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বার- সমৃদ্ধ বিচার ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, গায়েবি মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি এই অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থন করে না। ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। এক্ষেত্রে বিচারকদের দেখতে হবে অযথা নাগরিকরা যেন হয়রানি না হয়। 
ড. আসিফ নজরুল বলেন, এমন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে মানুষ ন্যায় বিচার পায়। শেখ হাসিনার ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে বিচার বিভাগ থেকে অনেক অবিচার হয়েছে। বিচার বিভাগ থেকে যেন আর কোনো অবিচার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
বিচারপতিদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচারবিভাগে যদি এমন কোনো বিচারক থাকেন, যিনি মানুষের কাছ থেকে তরবারি উপহার নেন, ছাত্র সংগঠনের কাছ থকে ফুল উপহার নেন, মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেন। বিচারবিভাগের জন্য এসব ভালো কিছু না।