বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, , ১৯ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
  • কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ সমর্থক ১০ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীকে শাস্তি বই ও সঞ্চয় ব্যাংক পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই জন আটক এই দিন দিন না, সামনে ভালো দিন আসবে : আদালতে কামরুল ইসলাম সশস্ত্র বাহিনী দিবসে’  বেগম খালেদা জিয়া, চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে দাওয়াত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত চান্দিনায় তিন ছাত্রীর টিফিন বক্সে বিষ, একজন হাসপাতালে কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সহচর দীক্ষা অনুষ্ঠান তরুণদের মাদক থেকে রক্ষায় অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১৪তম নতুন বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ হাবিবুর রহমান
  • মাথাব্যাথার কারণ ও সমস্যা সমাধানের উপায়

    মাথাব্যাথার কারণ ও সমস্যা সমাধানের উপায়
    মাথাব্যাথার কারণ ও সমস্যা সমাধানের উপায়

    মাথাব্যথার ধরন বুঝে নির্ণয় করা সম্ভব কেন ও কী কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। খুব পরিচিত দুটি কারণ হলো মাইগ্রেন আর টেনশন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই টেনশন টাইপ হেডেক। ১১ শতাংশের জন্য দায়ী মাইগ্রেন। ধূমপান, মদ্যপান, মাদকাসক্তি, অনিয়মিত ও অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধার্ত থাকা, মানসিক চাপ ইত্যাদি মাথাব্যথার কারণ। কাজেই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবার আগে এসব অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।

    মাইগ্রেন

    নারীরাই মাইগ্রেনে বেশি ভোগেন। সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়স থেকে মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা

    দেয়। স্থায়ী হয় ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত। মাইগ্রেনে মাথাব্যথার লক্ষণগুলো হলো:

    • মাথার যেকোনো একপাশে ব্যথা হয়। একবার একপাশে ব্যথা হলে পরের বার অন্য পাশেও ব্যথা হতে পারে।

    • চার ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যথা স্থায়ী হতে পারে।

    • মাথার দুই পাশের রক্তনালি বা রগ টনটন করছে বলে মনে হওয়া।

    • ব্যথার তীব্রতায় কোনো কাজই ঠিকভাবে করা যায় না।

    • আলো বা শব্দে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়।

    • ব্যথার সঙ্গে বমিভাব বা বমি হতে পারে।

    • ব্যথা শুরুর আগে চোখের সামনে আলোর নাচানাচি, আঁকাবাঁকা লাইন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

    • অন্ধকারে শুয়ে থাকলে ব্যথার তীব্রতা কমে।

    টেনশন টাইপ হেডেক

    মাথার মাংসপেশির সংকোচনের কারণে এ মাথাব্যথা হয়। এ ধরনের ব্যথার উপসর্গগুলো হলো:

    • মাথাজুড়ে ব্যথা হয়।

    • মাথা চেপে ধরে আছে—এমন অনুভূতি হওয়া।

    • মাইগ্রেনের মতো ততটা তীব্র ব্যথা হয় না।

    • এ ধরনের মাথাব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

    • দুশ্চিন্তা, পারিবারিক বা পেশাগত কিংবা মানসিক চাপের সঙ্গে এই ব্যথার সম্পর্ক আছে।

    কী করবেন

    মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল ইত্যাদি সেবন করা যেতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধের সঙ্গে অবশ্যই পেপটিক আলসাররোধী ওষুধ খেতে হবে। অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ সেবনেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ সমস্যাকে বলে মেডিসিন ওভার ইউজ হেডেক। তাই খুব প্রয়োজন না হলে ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শে দীর্ঘমেয়াদি কিছু ওষুধ সেবনে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।


    add