শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, , ২১ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পেলেন যারা ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০ কুমিল্লার চকবাজারে শর্ট বাউন্ডারি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বালুধুম ব্ল্যাক বয়েজ জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে আওয়ামী লীগ! কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে একজন আটক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ সমর্থক ১০ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীকে শাস্তি বই ও সঞ্চয় ব্যাংক পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই জন আটক এই দিন দিন না, সামনে ভালো দিন আসবে : আদালতে কামরুল ইসলাম সশস্ত্র বাহিনী দিবসে’  বেগম খালেদা জিয়া, চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে দাওয়াত
  • সাপ কামড় দিলে কী করবেন

    সাপ কামড় দিলে কী করবেন
    ছবি- সংগৃহীত

    মে থেকে অক্টোবর মাসে অর্থাৎ বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বাড়ে। এ সময় বেশির ভাগ স্থলভাগ ডুবে যাওয়ায় সাপ নতুন বাসস্থানের সন্ধানে বাসাবাড়ির উঁচু স্থানে আশ্রয় খোঁজে। এবার বাংলাদেশে আগাম বন্যায় সাপে কাটা মানুষের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    সব সাপই বিষধর নয়

    সাপ ভয় পায় না এমন মানুষ বিরল।

    সাপ কামড়ালে ভয়েই রোগী অর্ধমৃত হয়ে যায়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কি বিপদের আশঙ্কা আছে? আমাদের দেশে প্রায় ১০০ প্রজাতির সাপ আছে, যার মধ্যে শুধু ছয় প্রজাতির সাপ বিষধর, বাকি ৯৪ প্রজাতির সাপে কোনো বিষ নেই। অর্থাৎ এই ৯৪ প্রজাতির সাপ কামড়ালে কোনো সমস্যা নেই, চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। এই সুযোগই নিয়ে থাকে ওঝারা।

    ঝড়ে বক মরে, কবিরাজের কেরামতি ফলে। সাপের দংশনে ওঝার বিষ নামানোর অনেক পৌরাণিক কাহিনি সমাজে প্রচলিত আছে। ওঝাদের ব্যবসায় এসব সামাজিক অন্ধবিশ্বাস সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

    ঝাড়ফুঁকে সময় নষ্ট নয়

    শুধু বিষধর সাপ কামড়ালেই চিকিৎসা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে ওঝার ঝাড়ফুঁক কোনোই কাজে লাগে না, বরং সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।

    বিষধর সাপের দংশন আর চিকিৎসা শুরুর সময়ের পার্থক্য যত কম হবে চিকিৎসার সফলতার সম্ভাবনা তত বেশি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগী ওঝার পর্ব শেষ করে হাসপাতালে যখন আসে ততক্ষণে অনেক মূল্যবান সময় অপচয় হয়ে গেছে, রোগীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিষধর সাপের দংশনে প্রতিবছর স্বয়ং অনেক ওঝা হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেশি।

    যদি সাপ কামড় দেয়

    হাতে বা পায়ে কামড়ালে আমরা সাধারণত আক্রান্ত অংশের ওপর রশি বা গামছা দিয়ে টাইট করে বেঁধে রাখি। এটি একেবারেই ভুল প্রাথমিক চিকিৎসা।

    আলতোভাবে বাঁধা যেতে পারে বা ১০ মিনিট পর পর কয়েক মিনিটের জন্য বাঁধন খুলে দেওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো আক্রান্ত হাতের বা পায়ের দুই পাশে বাঁশের বা কাঠের ফালি দিয়ে তার ওপর আলতো করে বাঁধা যেন নড়াচড়া কম হয়। একটানা শক্ত করে বেঁধে রাখলে দীর্ঘক্ষণ রক্ত চলাচল বন্ধ থাকায় পচন ধরতে পারে, চিরতরে হারাতে হতে পারে হাত বা পা। যেকোনো সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে, কারণ সাপটি বিষধর ছিল কি না কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। ডাক্তার যদি বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ লক্ষ করেন তাহলে অ্যান্টিভেনাম ইনজেকশন প্রয়োগ করে থাকেন।

    পরামর্শ দিয়েছেন

    ডা. ইকবাল আহমেদ

    সহকারী অধ্যাপক

    প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ

    শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও

    প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট


    add