কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার একটি মাদ্রাসার টয়লেট থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় উদ্ধার শিক্ষার্থী তাওহীদ হোসেন (১১) মাদ্রাসাটির হিফজ বিভাগের ছাত্র। সে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার রামরায় গ্রামের খোরশেদ আলমের একমাত্র ছেলে। তবে গত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। বিকালে ঢাকা ট্রিবিউনকে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত সাড়ে ৯টার কিছু সময় পর মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সাথে তাওহীদের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় মাদ্রাসার এক ছাত্র। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে তারা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনাটিকে রহস্যজনক মনে করছেন কেউ কেউ। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বললেও স্থানীয় ও পরিবারে দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ছেলেটির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। নিহত তাওহীদের বাবা খোরশেদ আলম কান্না বিজরিত কণ্ঠে বলেন- আমার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলো। সে তার কোনো ধরনের মন খারাপের বিষয়ে কিছুই জানায়নি। তবে তার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা, সে বিষয়ে তদন্ত দাবি করেন। মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা নজির আহমেদ জানান, রাতে ছেলেটি বাথরুমে আত্মহত্যা করেছে। এর  বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।  ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।