বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, , ১৯ রবিউল সানি ১৪৪৬

শ্রেণি কক্ষে ছাত্রীদের জোরপূর্বক হিজাব খুলতে বাধ্য করতেন কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক

শ্রেণি কক্ষে ছাত্রীদের জোরপূর্বক হিজাব খুলতে বাধ্য করতেন কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক
ছবি/সংগ্রহীত

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করা ও শিক্ষার্থীদের হিজাব নিয়ে টানাটানি করার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ২য় শিফটের চীফ ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ মাহাবুব আলম এর বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শ্রেণীকক্ষে ক্লাস নিতে আসলে শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য করতেন শিক্ষক মাহাবুব আলম। কোনো শিক্ষার্থী নিকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের জোরাজুরি করতেন বলেও জানান ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সম্প্রতি ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ -এর করা সারাদেশে ১০০ জন হিজাব বিরোধী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকার ৬২ নাম্বারে রয়েছে কুমিল্লা পলিটেকনিকের শিক্ষক মাহাবুব আলম।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি একদিন নিকাব পরে আমার ক্লাসে যাই। পরে ক্লাসে মাহাবুব স্যার আমাকে বলে, তুমি যদি নিকাব পড়ে থাকো তাহলে আমি তোমার পরিচয় কি করে জানব। নিকাব পড়ে কথা বললে উনি নাকি বুঝতে পারে না। এখন উনার কথা বুঝার জন্য আমি যদি একজন মুসলিম হিসেবে আমার নিকাব খুলে ফেলি তাহলে আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা রইলো কোথায়?’
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা পর্দা করতো তাদেরকে মাহাবুব স্যার পছন্দ করতেন না। কেউ যদি মাস্ক বা হিজাব নিকাব পড়ে হাত মোজা পা মোজা না পড়তো, তাহলে নাকি পর্দা হয় না। তিনি অপমান করে বলতেন, মেয়েরা নাকি হিজাব নিকাব পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরাঘারি করে।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ক্লাসে কেউ মাস্ক কিংবা হিজাব বা নিকাব পড়ে আসলে, মাহাবুব স্যার তাদেরকে সেগুলো খুলে ফেলতে বলতেন। কেউ যদি মাস্ক না খুলতেন তাহলে তিনি তাদেরকে অপমান করতেন৷’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ২য় শিফটের চীফ ইন্সট্রাক্টর অভিযুক্ত মোহাম্মদ মাহাবুব আলম মুঠোফোনে বলেন, কেউ শিক্ষার্থীদের কে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে এমন অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমি ডিজি মহোদয়কে অভিযোগ পত্রটি পাঠিয়েছি এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বদলির জন্য সুপারিশ করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষক এখন কর্মস্থলে নেই। আমি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি মন্ত্রণালয় থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বদলির আদেশ আসার জন্য।