দশ লাখ টাকার প্রতারণার মামলায় সাময়িক বরখাস্ত নোয়াখালীর সেই প্রধান শিক্ষক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই, ২০২৪ ২০:৪৩ পি এম
দশ লাখ টাকার প্রতারণার মামলায় এবার সাময়িক বরখাস্ত হলেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক ক্ষুদিরাম পাল (৫৮)। তিনি পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের নাওতলা এলাকার মৃত সুরেন্দ্র কুমার পালের ছেলে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়- চলতি ২০২৪ সালের ১০ জুন আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলে, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী সেদিনই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অবশ্য অভিযোগ আনা হলেও দীর্ঘদিন বহাল তবিয়তে ছিলেন ওই প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে গত ৮ ও ৯ জুলাই কুমিল্লার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলে এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়।
এর আগে গত ২৪ জুন কুমিল্লার সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন প্রতারণার শিকার কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত নারায়ণ চন্দ্র দাশের ছেলে সুজন চন্দ্র দাশ। যার মামলা নং সিআর ৮৫/২৪। মামলায় বাদী সুজন চন্দ্র দাশ উল্লেখ করেন খালাতো ভাই বিজয় কুমার দে (২৮) এর শ্বশুর হওয়ার সুবাদে অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম পালের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সরকারি চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যেও জড়িত ছিলেন ক্ষুদিরাম পাল। এক সময় তিনি (ক্ষুদিরাম পাল) ব্যবসায়িক কাজে ১০ লাখ টাকা ঋণ চান। এতে তিনি ( সুজন দাশ) রাজি হন। সে অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ মে অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে খালাতো ভাইয়ের বাড়িতে খালাতো ভাই ও তার স্ত্রীসহ অন্যান্য সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তাকে (ক্ষুদিরাম) কে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু কথা অনুযায়ী তিন মাস পর পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দেবো-দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুনরায় টাকা ফেরত চাইলে বেমালুম অস্বীকার করেন। অথচ টাকা লেনদেনের সব তথ্য-প্রমাণই সংরক্ষিত রয়েছে। তাই আদালতের স্মরণাপন্ন হন প্রতারিত সুজন দাশ।
বাদী সুজন চন্দ্র দাশ বলেন, সম্পূর্ণ উপকারের মানসিকতা থেকেই ক্ষুদিরাম পালকে টাকা ধার দিয়েছি। কিন্তু তিনি আমার সাথে যে প্রতারণা করেছেন, তা দুঃখজনক। এক্ষেত্রে তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ক্ষুদিরাম পাল বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এ মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ক্ষুদিরাম পালের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করার পর নিয়ম অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনসুর আলী চৌধুরী জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই ক্ষুদিরাম পালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছিলো। এরই মধ্যে আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হওয়ার পরই সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আইনি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী শনাক্ত
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেবীদ্বারের ১১ শহীদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ
- ভিক্টোরিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন থানা হেফাজতে
- সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন এমডি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
- কুমিল্লায় ডেভেলপার কোম্পানি ও জমির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ
- বেসরকারি চ্যানেলে বিটিভির সংবাদ সম্প্রচারের বাধ্যবাধকতা থাকছে না
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন যিনি
- অপপ্রচারের প্রতিবাদে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরে মানববন্ধন
- নতুন আঙ্গিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের