বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, , ১১ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
  • আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা একুশে বইমেলা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কুমিল্লার মাঠে মাঠে সোনালী উৎসব দাউদকান্দিতে বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  ট্রাইব্যুনালে ৯ জনের বিরুদ্ধে পা হারানো সেই লিমনের অভিযোগ বুড়িচংয়ের ভরাসার ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ গার্লস হাইস্কুলে বাংলাদেশ স্কাউটসের ডে ক্যাম্প কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ কুমিল্লা অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক ধারার স্বপ্ন দেখেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক অজিত কুমার গুহ কুমিল্লার আদালতে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক যুগ্ম-সচিব কিবরিয়াকে মারধরের চেষ্টা, রিমান্ড মঞ্জুর
  • ড. ইউনূসকে যে পরামর্শ দিলেন মির্জা ফখরুল

    ড. ইউনূসকে যে পরামর্শ দিলেন মির্জা ফখরুল
    ছবি- সংগৃহীত

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করার লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটি দ্রুতই কমিশন গঠন করবে এবং সেই কমিশন দ্রুততার সাথে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সদ্য পদত্যাগী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিন মাসে যদি হাবিবুল আউয়াল সাহেবরা নির্বাচন করে ফেলতে পারেন, তাহলে কেন পারা যাবে না। চাইলেই পারা যাবে, সে চেষ্টা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের অন্য কোনো রকম রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই।’এ বিশ্বাসের ভিত্তি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন (ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস) এমন একজন ব্যক্তি, যিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত এবং তিনি কমিট (অঙ্গীকার) করেছেন যে তাঁর কোনো রকমের রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ আপনাকে খুবই ভালোবাসে। আপনাকে সম্মান দিয়েছে, দেবে এবং দিতে চায়। একটাই অনুরোধ থাকবে, আপনার এই জায়গা যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।

    পাকিস্তান আমল থেকে এ দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে একটা সংস্কৃতি। এটা জোর চাপিয়ে দেওয়া যায় না, এটা চর্চা করতে হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, যেই দল সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলত—আওয়ামী লীগ—তারাই ১৯৭২ সালে গণতন্ত্রকে গলাটিপে ধরেছে। তারপর যখনই সুযোগ পেয়েছে, তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেই দেশে এত সহজে এত অল্প সময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে বলে মনে করেন না মির্জা ফখরুল। তিনি নেতা-কর্মীদের অস্থির না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন। আমি লক্ষ করেছি, অস্থিরতা। এত অস্থির হয়ে তো লাভ নেই। মুহূর্তের মধ্যে সব মানুষকে ভালো করে দিয়ে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এখানে এত সুন্দর একটা নির্বাচন দেবে যে আপনারা সবাই খুশি হবেন। আমাদের সময় দিতে হবে।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার আমরাই তৈরি করেছি। অন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা যাঁরা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, ছাত্রনেতারা সবাই মিলেই এই সরকার গঠন করেছি। আমরা আশা করছি, সরকার একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেননি অতীতে। সেই ভোট দিয়ে তাঁরা নতুন সংসদ তৈরি করবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা এবং এটাই জনগণ চান।’

    এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

     


    add