বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, , ১১ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
  • আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা একুশে বইমেলা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কুমিল্লার মাঠে মাঠে সোনালী উৎসব দাউদকান্দিতে বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  ট্রাইব্যুনালে ৯ জনের বিরুদ্ধে পা হারানো সেই লিমনের অভিযোগ বুড়িচংয়ের ভরাসার ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ গার্লস হাইস্কুলে বাংলাদেশ স্কাউটসের ডে ক্যাম্প কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ কুমিল্লা অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক ধারার স্বপ্ন দেখেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক অজিত কুমার গুহ কুমিল্লার আদালতে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক যুগ্ম-সচিব কিবরিয়াকে মারধরের চেষ্টা, রিমান্ড মঞ্জুর
  • খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত।। পরিস্থিতি থমথমে

    খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত।। পরিস্থিতি থমথমে
    ছবি- সংগৃহীত

    খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সদরসহ পুরো জেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতের গোলাগুলি ও বিকালের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। নিহতরা হলেন- জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল চাকমা (৩০)। নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যে কোনো সহিংসতা রোধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে (আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টা) জেলা শহরের নারানখখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ধনঞ্জয় চাকমা দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে মারা যান। অপর দুজনকে আহত অবস্থায় রাতে খাগড়াছড়ি সদর থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, আহত হয়েছে ৯ জন। তারা বেশির ভাগই সদর উপজেলা থেকে রাতে এসেছেন। এর মধ্যে তিনজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।

    রিপল বাপ্পি চাকমা আরও জানান, রাতেই চার জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন বাঙালি রয়েছেন। আহত বাকি ৯ পাহাড়িকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনজনের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। 

    এদিকে দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার সকালে দীঘিনালা লারমা স্কয়ারে যান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দীঘিনালা জোন অধিনায়ক। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট পরিদর্শন করেন তারা। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ঘটনার যাতে পুনারাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য পাহাড়ি এবং বাঙালি উভয়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ করছি। গতকালের আগুনে অন্তত ১০২ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।  প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী।  দীঘিনালা জোন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।'


    add