শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, , ১ রবিউল সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
  • কুমিল্লায় দুর্গা পূজায় মাঠে থাকবে ৮২ প্লাটুন বিজিবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা দিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের কমিটি! কুমিল্লায় ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-দেবীদ্বারে ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সী ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ে রোভার স্কাউট গ্রুপের বার্ষিক তাঁবুবাস ও দীক্ষা অনুষ্ঠান এক কিলোমিটার নৌকায় বহন করে মরদেহ দাফন চৌদ্দগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের নতুন কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন জাতিসংঘ মহাসচিব কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের সাথে সংস্কৃতি প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
  • কুমিল্লায় ডেভেলপার কোম্পানি ও জমির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ

    কুমিল্লায় ডেভেলপার কোম্পানি ও জমির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ
    ছবি- সংগৃহীত

    কুমিল্লার ২য় মুরাদপুর, মেডিকেল কলেজ রোডের উত্তর পাশে ও ঢুলিপাড়া মোড় (ভাঙা বিল্ডিংয়ের পূর্ব দিকে) ডক্টর’স টাওয়ার নামে ২১ শতক ভূমির ওপর নির্মিত ১২ তলা ভবনের ফ্ল্যাট কেনার পর থেকেই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। তারা জানান ২০১০ সালে ভবনটি তৈরি শুরু হয়। ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে গ্রাহকদেরকে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়ার চুক্তি হয়। পরবর্তীতে ভূমির একজন মালিক (আমিনুল ইসলাম) মারা যাওয়ায় তার ওয়ারিশদের সাথে চুক্তি নবায়ন করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। এরই মধ্যে ভবনের কাজ সম্পন্ন করে গ্রাহকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে ব্যর্থ হলে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতি পূরণ দেয়ার চুক্তি হয়। বর্তমানে উক্ত ভবনে প্রায় ৬৬টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৫৭টি ফ্ল্যাটে গ্রাহক বসবাস করলেও চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজও শেষ হয়নি। তাছাড়াও ২টি লিফটের মধ্যে ১টি, নিম্নমানের জেনারেটর, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, মসজিদ নির্মাণ, রং করা বা খাবার পানির সু-ব্যবস্থাসহ কিছুই করা হয়নি। অপরদিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে ওপরে উঠতে ও নামতে গ্রাহকদের নাভিশ্বাস উঠে। এতে অসুস্থ রোগী, বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ অবস্থায় ডেভেলপার কোম্পানির কাছে বিষয়টি নিয়ে সমাধান চাইলেও তারা কোনো কর্ণপাত করে না। মূলত প্রভাবশালী হওয়ায় ডেভেলপার কোম্পানির বিরুদ্ধে কথা বলতে কেউ সাহস পায় না। আইনের আশ্রয়ও নিতে ভয় পাচ্ছেন। তাছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। জায়গার মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানির লোকজন পরস্পরের আত্নীয়। তাই অন্যান্য গ্রাহকগণ রয়েছেন বিপাকে। উল্লেখ্য, উক্ত জায়গার যৌথ মালিক তিন ভাই কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কালিরবাজার রামপুর এলাকার এ.কে. এম সিরাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ও  মৃত আমিনুল ইসলাম। আর ডেভেলপাররা হলেন- তাদেরই ভাই ডা. মো. শামসুদ্দিন ইলিয়াস, ভাতিজি জামাই মো. মিজানুর রহমান (বহিষ্কৃত জামায়াত নেতা) এবং ভাতিজা মোহাম্মদ শরিফ আহমেদসহ আরও কয়েকজন। ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান মাহমুদ মেহেদী (মাহবুব) বলেন, সেখানে তিনিও বিভিন্ন সমস্যার শিকার। এর বাইরে আর কিছু বলতে রাজি হননি।

     


    add